মার্চ 2019 - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৯

ব্লাকহোল বা কৃষ্ণবস্তু কি ? কৃষ্ণবস্তু কীভাবে গঠিত হয় ??

৩/২৮/২০১৯ ০৭:৫৬:০০ PM 0
ব্লাকহোল বা কৃষ্ণবস্তু কি ??
কৃষ্ণগহ্বর হচ্ছে এমন প্রকার ঘন পুঞ্জিভূত নক্ষত্র,যা খুব অল্প জায়গায় খুব পরিমাণ ভর ধারণ করে যার ফলে তার মাধ্যকর্ষন শক্তি এতো পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে সেইখান থেকে কোন বস্তুই বের হয়ে আসতে পারে না।এমনকি কোন আলো,তরঙ্গ,বার্তা কিছুই না ।
কৃষ্ণবস্তু ধারণার কারণ ??
কৃষ্ণগহ্বর বিজ্ঞানে সর্বস্বীকৃত সুপ্রতিষ্ঠিত বস্তু ।১৯৬৭ সালে কেমব্রিজের গবেষণা শিক্ষার্থী জোসেলিন বেল এর পরীক্ষা,এছাড়া বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে হাবল টেলিস্কোপ থেকে পর্যবেক্ষন করে দেখেছেন মহাকাশের অনেক বস্তুই আছে যা কিনা কোন অদৃশ্য বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে ।এছাড়া আরো অনেক তথ্য-উপাত্তের কারণে সুস্পষ্ট ভাবে বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বর ধারণার অবতারণা করতে বাধ্য হন ।
কৃষ্ণবস্তু ধারণার ইতিহাসঃ
কৃষ্ণগহ্বর বা ব্লাকহোল ধারনাটি খুব বেশীদিন আগের নয় ।খাতা কলমে এই শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন অ্যান উইন নামের এক যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক ।তিনি ১৯৬৩ সালে টেক্সাসে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সেমিনারের রিপোর্ট লিখতে এই শব্দটি ব্যবহার করেন ।এর পরে ১৯৬৭ সালে মার্কিন পদার্থবিদ জন হুইলার তার গবেষণা পত্রে “মহাকর্ষীয় প্রবল আকর্ষণে নিজের উপর পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়া কোন নক্ষত্র বুঝাতে” এই শব্দটি ব্যবহার করেন ।তার পর থেকেই শব্দটি জনপ্রিয় হওয়া শুরু করে ।তবে ১৭৮৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডন জন মিশেল তার গবেষণা প্রবন্ধে এমন একটি বস্তু ইঙ্গিত করেন যে একটি যথেষ্ট ঘন ও ভারী বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র এতোটাই শক্তিশালী হতে পারে যে সেখান থেকে কোন বস্তু এমনকি আলোও বাইরে আসতে পারবে না ।এ ধরনের নক্ষত্র থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে অনুমান করলেন মিশেল ।
কৃষ্ণবস্তু কীভাবে গঠিত হয় ??
কৃষ্ণগহ্বর কীভাবে গঠিত হয় সেটা বুঝতে হলে আমাদেরকে আগে একটি নক্ষত্রের জীবনচক্র বুঝতে হবে ।আমরা জানি একটি নক্ষত্রের মধ্যে হাইড্রোজেন পরমাণু অনবরত সংঘর্ষের মাধ্যমে হিলিয়াম পরমাণু তৈরি করছে এতে উৎপন্ন হচ্ছে প্রচুর তাপ ও চাপ এবং মহাকর্ষ বল একটি সাম্যবস্থায় না আসা পর্যন্ত এই তাপ ও চাপ বাড়তেই থাকে ।নক্ষত্রের এই তাপ ও চাপ অবিরাম নক্ষত্রের প্রশস্ততাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে আর এবং বিপরীতে কাজ করছে মহাকর্ষীয় বল ।মহাকর্ষীয় বল নক্ষত্রকে কেন্দের দিকে টানছে আর নক্ষত্রের হাইড্রোজেন জ্বালানী প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন করে নক্ষত্রকে প্রশস্ত করতে চাইছে ।আর যে নক্ষত্র যত বড় সেই নক্ষত্র তত দ্রুত জ্বালানী শেষ করবে এবং সংকুচিত হওয়া শুরু করবে ।এটা আপাত দৃষ্টিতে মিথ্যা মনে হলেও এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান ।এর কারণ হচ্ছে যে
নক্ষত্র যত বড় হবে তার মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনের বিরুদ্ধে তত জ্বলতে হবে এবং দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে ।
চন্দ্রশেখর সীমা কি ??
কোন ভরের নক্ষত্র কত দ্রুত জ্বালানী শেষ করবে সেটার নির্ভরযোগ্য সুত্র প্রদান করেছেন উপমহাদেশের খ্যাতনামা মহাকাশ বিজ্ঞানী সুব্রামানিয়ান চন্দ্রশেখর ।এর আগে আমরা দেখেছি বেশী ভরের নক্ষত্র দ্রুত জ্বালানী শেষ করে ।এরা সংকুচিত হওয়ার শেষ পর্যায়ে শ্বেতবামন,নিউট্রন তারা এমনকি কৃষ্ণগহ্বর তৈরি করবে ।ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর অনেক হিসাব-নিকাশ করে দেখালেন শীতল অবস্থায় একটি নক্ষত্র সূর্য ভরের ১.৫ গুণ আর উত্তপ্ত অবস্থায় ১৪ গুণ হলে নক্ষত্রটি মহাকর্ষীয় বলের কাছে অসহায় হয়ে নিজের উপরেই ভেঙ্গে পরবে ।আর এই মানকেই চন্দ্রশেখর সীমা বলে ।
কৃষ্ণবস্তু গঠিত হওয়ার সুত্রঃ
যেসব নক্ষত্র চন্দ্রশেখর সীমা থেকে অনেক বেশী ভর বিশিষ্ট তারা বিবর্তনের শেষ পর্যায়ে কৃষ্ণবস্তু তৈরি করবে ।যে সব নক্ষত্রের কৃষ্ণবস্তু হওয়ার মত যথেষ্ট ভর নেই তারা নক্ষত্রের বিবর্তনের শেষ পর্যায়ে “নিউট্রন তারা” উৎপন্ন করবে ।নিউট্রন তারা সাধারণত সৌর ভরের দেড় গুণ আর ব্যাসার্ধে ১০ কিলোমিটার হয়।আর যেসব নক্ষত্র নিউট্রন তারা হওয়ার ভর ধারণ করেনা তারা বিবর্তনের শেষে শ্বেতবামন তৈরি করে ।
Prodipto Delwar
20-03-2019
Read More

Post Top Ad

Your Ad Spot