ডিসেম্বর 2019 - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতনের সরকারী চাকরী

১২/২১/২০১৯ ১১:৪৩:০০ PM 0

বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় চাকরী হচ্ছে বিসিএস জব বা সরকারী চাকরী। চলুন দেখা নেওয়া যাক 2019 সালে বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বেশী বেতনের চাকরী কোনগুলোঃ
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী বেতনের সরকারী চাকুরী


এখানে শুধু মাত্র মূল বেতন রয়েছে, ভাতা, বাসা ভাড়া ,অনন্য সবকিছু আলাদা

১। প্রেসিডেন্ট- ১,২০,০০০ টাকা

২। প্রধানমন্ত্রী- ১,১৫,০০০ টাকা

৩। স্পিকার- ১,১২,০০০ টাকা

৪। প্রধান বিচারপ্রতি- ১,১০,০০০ টাকা

৫। মন্ত্রী- ১,০৫,০০০ টাকা

৬। বিরোধী দলীয় নেতা- ১,০৫,০০০ টাকা

৭। প্রতিমন্ত্রী- ৯২,০০০ টাকা

৮। তিন বাহিনীর প্রধান, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জেনারেল - ৮৬,০০০ টাকা

৯। সিনিয়র সচিব, লেফট্যানেন্ট জেনারেল- ৮২,০০০ টাকা

১০। ১ম গ্রেড, সচিব, মেজর জেনারেল- ৭৮,০০০ টাকা

১১। ২য় গ্রেড কর্মকর্তা- ৬৬,০০০ টাকা

১১। ৩য় গ্রেড, সংসদ সদস্য- ৫৫,০০০ টাকা

১২। ৪র্থ গ্রেড- ৫০,০০০ টাকা

১৩। ৫ম গ্রেড- ৪৩,০০০ টাকা

১৪। ৬ষ্ঠ গ্রেড- ৩৫,০০০ টাকা

১৫। ৭ম গ্রেড- ২৯,০০০ টাকা

১৬। ৮ম গ্রেড- ২৩,০০০ টাকা

১৭। ৯ম গ্রেড, বিসিএস অফিসার- ২২,০০০ টাকা

১৮। ১০ম গ্রেড, নন ক্যাডার অফিসার - ১৬,০০০ টাকা

১৯। ১১ তম গ্রেড- ১২,০০০ টাকা

২০। ১২ তম গ্রেড, প্রাইমারী প্রধান শিক্ষক- ১১,৩০০ টাকা

২১। ১৩ তম গ্রেড- ১১,০০০ টাকা

২২। ১৪ তম গ্রেড- ১০,২০০ টাকা

২৩। ১৫ তম গ্রেড- ৯৭,০০ টাকা

২৪। ১৬ তম গ্রেড, অফিস সহকারি- ৯৩,০০ টাকা

২৫। ১৭ তম গ্রেড- ৯০,০০ টাকা

২৬। ১৮ তম গ্রেড- ৮৮,০০ টাকা

২৭। ১৯ তম গ্রেড- ৮৫,০০ টাকা

২৮। ২০ তম গ্রেড- ৮২,০০ টাকা


Read More

২০২০ সালের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতনের চাকরীসমূহ

১২/২১/২০১৯ ০৬:৪৯:০০ PM 0
বাংলাদেশ একটি সল্প উন্নত মাত্র প্রযুক্তি প্রযুক্তি ব্যবহারকারী রাষ্ট্র। প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা, প্রকৌশল, ডাক্তার, আইনজীবী এসকল পেশার চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে।

এসকল চাকরীর বেতন নির্ভর করবে তার ঐ পেশার দক্ষতা ও গণ যোগাযোগের উপর, নির্ভর করবে তার পরিবেশ সময়ের উপর। এজন্য একই পেশার বেতনে হেরফের হতে পারে। তবে আমি একটি গড় হিসাব দিলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী বেতনের চাকরীগুলোর। 
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী বেতনের চাকরী -২০১৯


সূত্রঃ এভারেজ স্যালারি সার্ভে পরিসংখ্যান - ২০১৯


১। আইটি ম্যানেজারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ২,৭১,২৪৭ টাকা

আইটি মানে ইনফরমেশন-প্রযুক্তি। সারা বিশ্বে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন বিষয় হচ্ছে। আইটি, বাংলাদেশেও এটা বেশ জনপ্রিয়তা ও মার্কেট দখল করতে পেরেছে। বিভিন্ন ব্যাংকের অনলাইন নিরাপত্তা, অনলাইন লেনদেন, ওয়েবসাইট পরিচালনা করা ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন সহ বিভিন্ন কাজ কর্ম এই ম্যানেজার সাহেব পরিচালনা করে থাকেন। বিভিন্ন ক্লায়েন্ট, অংশীদার, গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে তাকে কাজ পরিচালনা করতে হয়। তাই কোম্পানির অনেক সাফল্য এই ব্যক্তির উপর নিভর করে।



২। মার্কেটিং ম্যানেজারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ২,৫৬,২৫০ টাকা

মার্কেটিং ম্যানেজারের কাজ হচ্ছে মুনাফার উদ্দেশ্যে বিপনন কৌশল কাজে লাগিয়ে ক্রেতার চাহিদা সনাক্ত করা। একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট কীভাবে গ্রাহকদের কাছে সর্বোচ্চ হারে পৌছানো যায় সেটা রক্ষণাবেক্ষণ করাই মার্কেটিং ম্যানেজারের কাজ। পণ্য ডিজাইন, পণ্য ব্যয় ,পণ্য বিজ্ঞাপন, বিক্রয় এবং বরাদ্দ সহ প্রোডাক্টের পরিকল্পনা এবং সমন্বিত বিপণন কার্যক্রম, এর চাহিদা ও সরবরাহ বজায় রাখা নিশ্চিত করন, বাজার গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সদ্ব্যবহার সহ কোম্পানির আর্থিক লাভবান মার্কেটিং ম্যানেজারের বাণিজ্যিক দূরদর্শিতার উপর নির্ভর করে। এইসব কারণে একজন মার্কেটিং ম্যানেজার উচ্চ বেতন পেয়ে থাকেন।



৩। প্রফেসর-লেকচারারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,৯৮,০৪৭ টাকা

বাংলাদেশ বর্তমানে শিক্ষা বিষয়ক উন্নয়নশীল দেশ। এখানে শিক্ষা বিষয়ক বাণিজ্যের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষক সমগ্র আয় উচ্চ পরিমাণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন এভারেজ স্যালারি সার্ভে নামক প্রতিষ্ঠান।  



৪। এইচআর ম্যানেজারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,৬৬,০৫১ টাকা

এইচআর (HR বা HRM - Human Resource Management) একটি প্রতিষ্ঠানের লোকবল ও তাদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনে যথাযথ তথ্য উপস্থাপন করাই একজন মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা  (Human Resource Management) কর্মীর মূল কাজ। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মী নিয়োগ, বদলি, প্রমোশন, প্রশিক্ষণ, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সকল কর্মচারীদের বেতন,বোনাস,ভাতা সহ বাৎসরিক ছুটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড  এসব কিছুর প্লান এইচআরএম কর্মী করে থাকেন।



৫। সফটওয়্যার -অ্যাপ ডেভেলপারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,৫২,৮৪০ টাকা

বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য, তাই একজন সফটওয়ার নির্মাতা উচ্চ ইনকাম করবে এটাই স্বাভাবিক ধারণা। হ্যা এভারেজ স্যালারি সার্ভে এটাই জানিয়েছে, এবং সময়ের সাথে সাথে  এই এপ বা সফটওয়ার নির্মাতাদের আয় বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে।



২০১৯ সালের বাংলাদেশের সেরা দশ চাকরী




৬। ইঞ্জিনিয়ারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,২৪,৭৬৮ টাকা

ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশল সমাজের সর্বস্তরে প্রয়োজনীয়। তাই দেশে বিদেশে, সমাজে এর চাহিদা রয়েছে ব্যপক। একজন ইঞ্জিনিয়ার বেশ টাকা ইনকাম করতে পারবে যদি সে তার কাজে পারদর্শিতা অর্জন করে। 



৭। ডাক্তারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,০৩,৮৫৬ টাকা

ডাক্তার সমাজের অতীব অবিচ্ছেদ্য অংশ। একদম দরিদ্র থেকে উচ্চ ধনী পর্যন্ত এর সেবা গ্রহণ করতে পারে। সমাজের চোখে ডাক্তারি পেশা এক ধরনের সন্মানের পেশাও বটে। এই পেশায় দক্ষতা ও পরিচিতি থাকলে বহু টাকা ইনকাম করা যায়। 



৮। অনলাইন মার্কেটিং প্রফেশনালঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ৯৬,৩৬৯ টাকা

বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর দেশ ও পৃথিবী। মানুষ ধীরে ধীরে অনলাইন নির্ভর হয়ে পরছে। তাই বর্তমানে যারা অনলাইনে মার্কেটিং করতে পারছে তারা সমাজের ইনকামের শীর্ষ তালিকায় স্থান পেয়েছে। আপনি ইউটিউবিং, ব্লগিং সহ সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন থেকে উল্লেখযোগ্য টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

৯। আর্কিটেক্টঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ৯৪,১২০ টাকা

আর্কিটেক্ট হলো বিল্ডিং নির্মানার্থে প্ল্যানিং ইঞ্জিনিয়ার। তাই এই চাকরী অবশ্যই জনপ্রিয় হবে। কারণ বিশ্ব এখন উন্নয়নশীল অবস্থায় রয়েছে। দেশে বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ইনকামও করতে পারছে বেশ টাকা জানিয়েছে এভারেজ স্যালারি সার্ভে। 



১০। ম্যানেজারঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ৭৮,৪২১ টাকা

ম্যানেজার বলতে, একটি কোম্পানির যিনি সর্বোচ্চ রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্বে থাকে তাকে বুঝায়। একটি কোম্পানি কীভাবে পরিচালিত হবে, কীভাবে এর পণ্য উৎপন্ন হবে এবং বিক্রয় হবে সবকিছুই এই মানেজারের দায়িত্বের মধ্য থেকে হয়। কোম্পানির লাভ-লসের হিসাব নিকাশ ম্যানেজারকে দিতে হয়। 


আমার ধারণা এছাড়াও বাংলাদেশের আরো কিছু বড় বড় চাকরী রয়েছে দক্ষতা অনুসারে এর চেয়েও বেশী টাকা ইনকাম করা যাবে। সেগুলো দেখুনঃ

  • উদ্দোক্তাঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ মেধা ও শ্রম অনুয়ায়ি

  আপনি যখন নিজেই কিছু একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়ে কাজ শুরু করবেন তখন আপনার মেধা,পরিশ্রম ও যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে নিজেই একজন সফল বিজনেস ম্যান হতে পারবেন। একদিন আপনিই হতে পারবেন মিলিনয়র মানে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।


  • আইনজীবীঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ১,১৫,০০০ টাকা
অনেক বড় পেশার মধ্যে আইনজীবী একটি বড় পেশা। এই পেশায় রয়েছে সন্মান ও বিশাল অংকের ইনকাম। আইনজীবী পেশা বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় লোভাতুর একটি পেশা। 


  • হিসাবরক্ষকঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ৭০,০০০ টাকা 
একটি ব্যাংক বা কোম্পানির হিসাবরক্ষক উচ্চহারে পেমেন্ট পেতে পারেন। হিসাবরক্ষক পেশায় বাণিজ্য বিভাগের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্ররা জায়গা করে নিতে পারে। 

  • ডাটা এন্ট্রি অ্যাসিস্ট্যান্টঃ আনুমানিক সর্বোচ্চ স্যালারিঃ ৭৫,০০০ টাকা

ডাটা এন্ট্রি হল একটি কম্পিউটারে বা সার্ভারে ডাটা সংগ্রহ করা গ্রাহকদের রুচি ও পছন্দের উপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ডিভাইস হতে ডাটা গুলো রিফরমেশন সাজিয়ে গুছিয়ে রাখাই ডাটা এন্ট্রির কাজ। কম্পিউটার কীভাবে দিন দিন মানুষের বিকল্প হিসাবে কাজ করতে পারছে, এই প্রশ্ন আপনি যদি করেন তাহলেও উত্তর আসবে এই ডাটা এন্ট্রির অবদান। সারা বিশ্বে বাজার দখলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি। জেপিয়ার, IFTTT এই ধরনের কাজ করে থাকে।








Read More

শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

মাইকেল জ্যাকশন কি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন? দেখুন প্রমান সহ বিস্তারিত

১২/২০/২০১৯ ০৭:২৭:০০ PM 0

২৫ জুন’০৯ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন পপ সিংগার মাইকেল জ্যাকসন। তার ইসলাম গ্রহণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেননা মিডিয়ায় গুজব রটলেও তিনি ছিলেন নিরব।
২০০৮ সালের শেষের দিকে প্রথম দ্য সান সংবাদ মাধ্যম তার ইসলাম ধর্ম গ্রহণের খবর প্রচার করে। এই খবর প্রচারের পর সারা বিশ্বের সকল মিডিয়া ঢালাও ভাবে এই সংবাদ শেয়ার করে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায় মাইকেল জ্যাকশন ইসলাম গ্রহণ করেছে।
মাইকেল জ্যাকশন-পপ সিংগার

দ্য সান মিডিয়া জানান, তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং নতুন নাম গ্রহণ করেছেন "মিকাইল"। বাহরাইনে আরবদের সাথে তোলা বিভিন্ন ছবিতে তার আরবীয় পোষাক পরিধান বিষয়টিকে আরো জোরদার করে তুলে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার যে জ্যাকসন নিজে কখনো এরূপ ঘোষণা দেননি, এমনকি মিডিয়ায় এই সংবাদ ছড়ানোর পরেও পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দেননি।
মাইকেল জ্যাকশনের মৃত্যুর পর কীভাবে তার দাফন করা হয় এটা নিয়েও বিশ্বের তার ভক্ত ও দর্শকগণের মধ্যে উদ্বেগ ছিলো। তাঁর মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর ৭ জুলাই"০৯ লস্ এঞ্জেলসের স্টাপল সেন্টারে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া এবং হত্যা না আত্নহত্যা এটা পরীক্ষা জন্য তার লাশ কবর থেকে তুলে ৩ সেপ্টেম্বর’ ০৯ ক্যালিফোর্নিয়ার ফরেস্ট লোন মেমোরিয়াল পার্কে পুনরায় কবরস্থ করা হয় এই পুরো ব্যপারটায় দাফন কার্য গোপনিয়তার সঙ্গে করা হয়। তাই সঠিকভাবে জানা যায়না তিনি ইসলাম গ্রহণের করেছেন কি করেননি।
তবে তার বড় ভাই ও ব্যান্ড পার্টির জারমেইন জ্যাকসন ১৮৮৯ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং জ্যাকশনের আইনজীবী মার্ক সাফারও ইসলাম গ্রহণ করেন।[1]
তবে মাইকেল জ্যাকশন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পজিটিভ ছিলেন, তিনি হয়তো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন
যেমন ১৯৮৯ সালে একটি প্রেস কনফারেন্সে মাইকেল বলেছিলেন, ‘আমি ইসলামকে আমার ভাইয়ের মধ্যে দেখেছি। আমি ইসলাম সম্পর্কে বই-পত্রও পড়েছি এবং কোন একদিন ইসলামের এই প্রশান্তি, স্থিরতার মাঝে নিজের অনুভূতিতে একান্তভাবে পেতে ইচ্ছা করি।’
কিন্তু পরবর্তীতে তার জীবনে অনেক ঝর-ঝাপ্টা নেমে আসে। এছাড়াও প্রিয় বন্ধু ক্যাট স্টিভেন্স, (ইনিও পরে ইসলাম গ্রহণ করেন), জীবনের শেষ দিকের কিছু সময় এর সাথে কাটান।
দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক প্রখ্যাত মুসলিম সঙ্গীতশিল্পী জাইন ভিখার সাথেও এ সময় তার বন্ধুত্ব হয়, যিনি Give Thanks to Allah শিরোনামে একটি গান রচনা করেন।

তবে মাইকেল জ্যাকশনের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে উৎসাহী হওয়ার কিছু নেই। কেননা তার জীবনের সামগ্রিক কাজ কখনোই ইসলাম সমর্থিত নয়।
Read More

২০৭০ সালে ইসলাম হবে সর্ববৃহৎ ধর্ম, নাস্তিক ও খ্রিষ্টান অনুসারিরা কমে যাবে

১২/২০/২০১৯ ০৯:৫৫:০০ AM 0
বর্তমানে বিশ্বে খ্রিষ্টান ৩৩%, মুসলিম ২৩%, হিন্দু ১৩%। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার গবেষণা মতে বর্তমানে সবচেয়ে বর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। 

২০৫০ সাল নাগাদ ইসলাম ধর্ম খ্রিষ্টান ধর্মের সমসংখ্যক হয়ে যাবে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম। তখন মুসলিম হবে মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ৩৫%। বর্তমানে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির হার পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকে বেশী।


পিউ সেন্টার বলছে, বর্তমান বিশ্বে নাস্তিকদের সংখ্যা রয়েছে ১৬%, কিন্তু আগামী ২০৭০ সালে নাস্তিকদের সংখ্যা কমবে, তখন পৃথিবীতে নাস্তিকদের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১৩%।
২০৭০ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম হবে ইসলাম

———————————————————————————————————————

কোন দেশে কতজন ইসলাম গ্রহণ করছে এটা বলা মুশকিল। তবে ইসলাম কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পরিসংখ্যান দেখুন।
পিউ গবেষণা সেন্টার বলছে, ২০১০ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ ভাগ। ২০৫০ সালে খ্রিস্টান ও মুসলিম জনসংখ্যা হবে প্রায় সমান সমান প্রায় ২৮০ কোটি বা মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ। এরপর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলিম জনসংখ্যা।
এরমানে সারা বিশ্বে ৬০ বছরে মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা পাবে (২৮০-১৬০) কোটি= ১২০ কোটি। তারমানে গোটা বিশ্বে প্রতি বছরে দুই কোটি মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুঝুন তাহলে কীভাবে মানুষ ইসলামের দিকে ঝাপিয়ে পরছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এই ৬০ বছরে ১০ কোটি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করবে ধারণা করছে পিউ গবেষণা।
——————————————————————————————————————-

২০৭০ সাল নাগাদ খ্রিষ্টান ধর্মের বৃদ্ধি পাবে ৩৭% এবং ইসলাম ধর্ম বৃদ্ধি হবে ৭৩%। এখন দেখা যাক কোন দেশে কেমন বৃদ্ধি পাবে।
ভারতেঃ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দাবি ২০১০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ছিলো ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু ২০৫০ সালে সেই জায়াগা দখলে নেবে ভারত। সেই সময় দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৩১ কোটি ১০ লাখ, কিন্তু তখনো দেশটি হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রেঃ
গত দশ বছরে ১০ লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারমানে প্রতি এক বছরে এক লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পাছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০৪০ সালের মধ্যেই আমেরিকায় ইহুদীদের ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম। পিউ রিচার্স সেন্টারের দাবি, ২০৫০ সালের মধ্যে চার কোটি মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে ঠিকই কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত ইসলাম গ্রহণ করবে সাড়ে ১০ কোটি।
ইউরোপ মহাদেশেঃ
ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০% হবে মুসলিম। ব্রিটেনে ও ফ্রান্সে খ্রিষ্টান অনুসারী কমে যাবে প্রায় ৫০%।
আফ্রিকা মহাদেশেঃ
আর সাব-সাহারা আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনে ৪ হবে মুসলিম।
—————————————————————————————————————-

পিউ গবেষণা প্রতিবেদন করেছে, ২০১০ সালে বিশ্বের ১৫৯টি দেশই ছিল খ্রিস্টান প্রধান। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা আটটি কমবে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা আরো দুটি বেড়ে দাঁড়াবে ৫১টিতে। নাইজেরিয়া ও মেসিডোনিয়া হবে মুসলিম প্রধান দেশ।

এছাড়াও অভিবাসন নীতি গবেষণা মতে দেখুনঃ
পিউ রিসার্চ সেন্টার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি রাষ্ট্র ও নরওয়ে এবং সুইটজারল্যান্ডের উপর অভিবাসন নীতি গবেষণা চালিয়ে বলেছেন,
ইউরোপে বর্তমানে মুসলমানদের উচ্চ অভিবাসন চলছে। পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে অভিবাসন যদি এখনই শূণ্যে নামিয়ে আনা হয়, তারপরও ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানের ৪.৯% বেড়ে ৭.৪% বাড়বে। আর যদি অভিবাসনের উচ্চ হার অব্যাহত থাকে, তাহলে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ১৪ শতাংশের বেশি।
সুইডেনে ২০১৬ সালে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮.১%। কিন্তু পিউ গবেষণা সেন্টার মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ সুইডেনে মুসলিমরা হবে মোট জনসংখ্যার ৩০% শতাংশ। অর্থাৎ সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
Read More

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ছাত্র অবস্থায় অর্থোপার্জনের সুন্দর কিছু উপায়

১২/১৯/২০১৯ ০৯:৩৩:০০ PM 0
ছাত্র বাংলাদেশের একটি বৃহৎ অংশ। অনেক সময়ই দেখা যায় ছাত্ররা অর্থাকষ্টে ভুগছে। আমার মনে হয় তারা যদি এই সাধারণ কিছু ফর্মুলা ব্যবহার করতে পারে তাহলে এই অর্থের অভাব কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। 

আসুন দেখে নিই কীভাবে সে খন্ডকালীন চাকরী করে অর্থোপার্জন করতে পারে।

১। টিউশনিঃ একটা ছাত্র পড়াশোনার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেই জ্ঞান বিতরন তথা টিউশনি/ প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই জ্ঞান বিতরণ আপনার যেমন জ্ঞানকে শাণিত করবে এবং কিছু আর্থিক লাভবানও হবেন।
২। ছোট খাটো ব্যবসাঃ অর্থ উপার্জনের জন্য প্রথম শর্ত কোন কাজকেই ছোট করে দেখা যাবেনা। যেকোন বৈধ্য পথে উপার্জনকেই আপনার সন্মানের চোখে দেখতে হবে এবং এই কাজ করতে কুণ্ঠিত হওয়া যাবেনা। কী কী ব্যবসা আপনি করতে পারেন তার একটি তালিকাঃ
ক) আপনি যেসব পন্য সহজে নষ্ট হয়না এবং আপনার রুমে এসে নিয়ে যেতে পারে এমন পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এবং সেই পন্যের চাহিদা আপনার ক্যাম্পাস/কলেজে থাকতে হবে। যেমনঃ আপনার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো করা শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট। আশা করি ব্যাপক বিক্রি হবে বড় ধরনের ঝামেলা ছাড়াই।
খ) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যা ছাত্রদের সবসময় লাগে এমন পন্য আপনি বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ কলম,খাতা,সাবান,শ্যাম্পু সহ বিভিন্ন কিছু। আপনি অল্প করে কিনে রাখতে পারেন। দেখা যাবে আপনার কলেজের সবাই আপনার থেকেই সবকিছু কেনাকাটা করছে। আপনি যদি লজ্জা-শরম ত্যাগ করে শুরু করতে পারেন। অবশ্যই লাভবান হবেন।
গ) আমাদের ক্যাম্পাসে শাওন নামে জুনিয়র শরবত বানিয়ে বিক্রি করে বিকেল বেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সে লজ্জা না পেয়ে কাজ শুরু করেছে। এখন সবাই এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। ক্যাম্পাসের সবাই তার দোকান থেকে শরবত খাই আমরা। প্রচুর ভিড় থাকে শাওনের দোকানে। মাসে অন্তত ২৫ হাজার টাকা হচ্ছে। আসল কথা কাজকে লজ্জা পাওয়া যাবেনা।
ছাত্র অবস্থায় অর্থোপার্জন

৩। আউটসোর্সিংঃ আপনি যদি কিছু লজ্জা মনে করেন আর আপনার হাতে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে ঘরে বসেই আউটসোর্সিং করতে পারেন। আপনার সুবিধামত সময়ে কাজ করে নিজের খরচ নিজেই চালানোর মত উপার্জন অনায়সে করতে পারবেন।
৪। অনলাইন দক্ষতাঃ বর্তমান এই অনলাইনের যুগে আপনি যদি ভালো ভিডিও ইডেটিং এর কাজ জানেন তাহলে ইউটিউব থেকে প্রচুর উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন,ফটো ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইন এর কাজ জানেন তাহলে এসব কাজের কোন অভাব হবেনা এবং সাথে টাকা পয়সা দারুন ইনকাম হবে। এটাকে প্রফেশনাল হিসাবেও বেছে নিতে পারেন পরবর্তীতে।
৫। গ্রুপ বিজনেসঃ আপনাদের কিছু বন্ধু মিলে একটা গ্রুপ খুলে নিতে পারেন। আপনারা সবাই যদি অল্প অল্প কিছু টাকাও দেন তাহলে একটা মোটামুটি এমাউন্ট চলে আসবে আপনাদের হাতে। সেই টাকা দিয়ে আপনারা শুরু করতে পারো যেকোন ফার্মের বা সুবিধা ও চাহিদা দেখে যে কোন একটা ব্যবসা। এটা আপনাদের পরবর্তী জীবনে খুব উপকারেও আসবে।

সবশেষে একটি কথা অবশ্যই স্পষ্টভাবে বলতে হবে পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই পরিশ্রম করুন অর্থের অভাব থাকবেনা। 

Read More

এশিয়া মহাদেশে মুসলমানদের উপর বৃহত্তম কিছু গণহত্যা ও নির্যাতন

১২/১৯/২০১৯ ০৫:১৩:০০ AM 0
দেশে দেশে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছে। আর এভাবেই ইসলামের প্রসার ও মুসলমানদের বিস্তার ঘটেছে। আমি প্রাচীনকাল বাদ দিয়ে শুধু সাম্প্রতিককালে তাও আবার শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশের কিছু মুসলমানদের গণহত্যার চিত্র তুলে ধরবো।


১। চীন দ্বারা মুসলিম গণহত্যাঃ
১৮৬০ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত চিনা মুসলিমরা কিং সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিক বিদ্রোহ করে যেটা দুনগান বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহে তারা ব্যর্থ হয় এবং তাদের ১.৩ কোটি জনগণের মধ্যে ৭০ লক্ষ মানুষ গৃহহারা হয়েছিলো। এবং চীনা সাম্রাজ্যের অত্যাচারের ফলে ১.২ কোটি হুই জনগণ ও চীনা জনগণ মারা গিয়েছিলো। "মুসলিমদের ধুয়ে ফেলা" নাম দিয়ে এই মিশন পরিচালিত হয়েছিলো।

চিত্রঃ দুনগান বিদ্রোহে সম্পর্কে শিল্পীর একটি কল্পনা
১৭৬৫ সালে কিং রাজবংশের রাজা মাঞ্চুস এর পুত্র ও তার কর্মচারীরা উইঘুরের মুসলিমদের ধর্ষণ করতো প্রতিনিয়ত। কেননা তাদের যুক্তি ছিলো তাদের নারী মাংশ খেতে পছন্দ। এরপর উইঘুরের জনগণ প্রতিবাদি হয়ে উঠলে মাঞ্চু সম্রাটের আদেশে উইঘুরের পুরুষদের গণহত্যা করা হয় এবং তার সেনাবাহিনী অবাধে উইঘুরের নারীদের ঘর্ষণ করতে থাকে। এবং সমস্ত মুসলিম নারী ও শিশুদের দাস ও যৌনকর্মী বানিয়েছিলো। গণহত্যার পরিমাণ এতো পরিমাণ ছিলো যে, মাঞ্চু সরকার কর্তৃক ১ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল।


২। ভারত দ্বারা মুসলিম হত্যাঃ
ভারতে ১৯৫৪ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ৬৯৩৩ টি সংঘর্ষে ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এবং ২০০৩ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২৬০০০ হয়ে যায়। আর যদি ১৯০০ সালের পর থেকে হিসাব করা যায় তাহলে মুসলিম হত্যার সংখ্যা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে যায় বলে দাবী করছে মুসলমানগণ। বড় বড় কিছু হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে।



৩। রাশিয়া-আর্মেনিয়া দ্বারা গণহত্যাঃ
রাশিয়ায় কাজান বিজয়ের পরে ১৫৫২ সালে বহু ইসলামিক স্কলারকে নির্যাতন করা হয়েছিলো।
এরপর রাশিয়ান আলেকজান্ডার সুভোরভ ১৭৯১ তৎকালীন একটি হামলার পরে ঘরে ঘরে, ঘরে ঘরে চাপ দেওয়া হয়েছিল এবং শহরের প্রায় প্রতিটি মুসলিম পুরুষ, মহিলা এবং শিশু মারা গিয়েছিল তিন দিনের অনিয়ন্ত্রিত গণহত্যায়, ৪০,০০০ তুর্কি মারা গিয়েছিল, কয়েকশকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
১৯১৯ সালে রাশিয়া এবং আর্মেনীয়া কতৃক বহু মুসলমানকে তুর্কি ও কুর্দি মুসলমানদের হত্যা করেছিল। আজমির, মনিসায় ব্যপক গনহত্যা, ধর্ষণ, নৃশংসতার স্বীকার হয়েছিলো মুসলিমরা ইতিহাস সাক্ষী ঐ সময় প্রায় ২৫০ গ্রাম চালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

চিত্রঃ কাজান যুদ্ধের সময় মুসলিমরা মসজিদ আক্রমণ ঠেকাচ্ছে।


৪। জাপান দ্বারা গণহত্যাঃ

আরাকানে অত্যাচার
জাপান সাম্রাজ্য বাহিনী ১৯৪২ সালে আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করে এবং কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় বহিষ্কার করে। এই সময়কালে, প্রায় ২,২০,০০০ রোহিঙ্গা সহিংসতা থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় ব্রিটিশ ভারতের সাথে মিশে যায়। এরপর ৪০,০০০ রোহিঙ্গা শেষ পর্যন্ত বার্মিজ ও জাপানি বাহিনীর দ্বারা গণহত্যার পরে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়।
চায়নাতে অত্যাচার
ব্রিটিশ বার্মার একটি চীনা মুসলিম শহর প্যাংলং জাপানি হানাদার বাহিনী আক্রমণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছিল। ২০০ এর বেশী পরিবার পালিয়ে গেছিলো শহর ছেড়ে।

চিত্রঃনানজিংয়ে জাপানিরা ধর্ষণের পর হত্যার একটি দৃশ্য
দ্বিতীয় চীন-জাপানি যুদ্ধের সময় নানজিংয়ে জাপানিরা "হত্যার নীতি" হিসাবে অভিহিত হয়ে অনুসরণ করেছিল এবং অনেক মসজিদ ধ্বংস করেছিল। ওয়ান লেয়ের মতে, জাপানিরা ১৯৪২ সালের এপ্রিলের মধ্যে ২২০ টি মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছিল এবং অগণিত হুই মানুষকে হত্যা করেছিল।" নানজিংয়ের নানকিং মসজিদের ধর্ষণের পরে মৃতদেহ ভরা দেখা গেছে। তারা আরেকটি নীতি অনুসরণ করেছিলো ইচ্ছাকৃত অপমানের নীতি। তারা স্থানীয় নারীদের তাদের যৌনদাসী বানিয়েছিলো।


৫। মায়ানমার মুসলমান নিধনঃ
মিয়ানমারে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছে। মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘু বেশিরভাগ রোহিঙ্গা জনগণ প্রথমদিকে, ধর্মীয় কারণে মুসলমানদের উপর বৌদ্ধ নির্যাতন শুরু হয়েছিল এবং এটি ১৫৫০-১৫১৫ পূর্ব খ্রিস্টাব্দের রাজা বায়েননাংয়ের রাজত্বকালে ধর্মের নামে পশু নিধনকে ও ইসলাম ধর্মের কুরবানিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ১৮ শতকে হালাল খাবারও রাজা আলাউংপায়ার দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

চিত্রঃ বাংলাদেশের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা মুসলমানরা, অক্টোবর 2017,
এরপর ১৯৬২ সালে যখন জেনারেল নে উইন জাতীয়তাবাদের ক্ষমতায় এলেন, মুসলমানদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছিলো। মুসলমানদের সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং দ্রুত প্রান্তিককরণ করা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে আরাকানের কিং ড্রাগন অভিযানের ফলে ১৯৯৮ সালে ২ লক্ষ এবং ১৯৯১ সালে ২,০০,০০০ ২ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশ ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে।
২০১২ সালে একটি বহুল প্রচারিত বার্মিজ সংঘাত ছিল রাখাইন রাজ্য সংঘর্ষের একটি সিরিজ যা মূলত উত্তর রাখাইন রাজ্যে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধ এবং রোহিঙ্গা মুসলিম জনগণকে জড়িত করেছিল। এই দাঙ্গার ফলে আনুমানিক ৯০,০০০ মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
এবং সবশেষে ২০১৬ সালের দিকে প্রচুর পরিমাণে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য।


৬। বসনিয়ায় গণহত্যাঃ
বসনিয়ায় ১৯৪৫ সালে ঐ দেশের কমিউনিস্ট সয়ারকার কতৃক বসনিয়ায় প্রায় ১ লক্ষ সাধারণ মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছিলো, যা ইতিহাসের বৃহত্তম গনহত্যা নামে পরিচিত।



Read More

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

লুডু খেলার সামগ্রিক ইতিহাস

১২/১৬/২০১৯ ০৩:৩১:০০ AM 0
লুডো বা লুডু ল্যাটিন শব্দ লদো থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ল্যাটিন লদো শব্দের অর্থ আই প্লে বা আমি খেলি। লুডু শব্দের অর্থও আমি খেলি বা খেলা

লুডু খেলা ষষ্ঠ শতকের মেডিভাল যুগের একটি খেলা। হিন্দি পাসিচি বা বাংলা পাশা খেলা থেকে এই লুডু খেলার উৎপত্তি। এই খেলায় ২ জন থেকে ৪ জন মিলে খেলা করা যায়।

চিত্রঃ প্রাচীন পাসিচি খেলার কোড

লুডু খেলায় এই ছকের উপর ডাইস বা ছক ছেড়ে দিতে হয়, সেখানে বিভিন্ন নাম্বার উঠে এবং সেই নাম্বার অনুসারে খেলা সামনের দিকে আগাতে থাকে। এই ডাইসের ইতিহাস খুবই পুরাতন। সম্প্রতি ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে ডাইস প্রাচীন রোমান সভ্যতার নিদর্শন। ২৪০০-২৫০০ খ্রিস্ট পূর্ব সালের দিকে রাইন নদীর তীরে রোমান সৈন্যদের একটি ঘাটি ছিলো। সেইখানে ডাইসের সন্ধান পাওয়া যায় ২০১৬ সালে।

চিত্রঃ একটি দুর্গের মধ্যে প্রাপ্ত রোমান সভ্যতার ডাইস

প্রাচীনকালে দন্ড ডাইস দিয়ে পাসিচি খেলা হতো, ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডে লোকজন দণ্ড আকৃতির ডাইস বাদ দিয়ে ঘনাকৃতির ডাইসের প্রবর্তন ঘটায় সেখান থেকেই লুডু খেলার উৎপত্তি। এরপর ইংল্যান্ডের রয়েল ন্যাভি এটাকে বর্তমান রূপ উস্কার্স রুপের বোর্ড গেমে রুপান্তরিত করে। এটাই বর্তমান লুডু খেলা। মুঘল সম্রাট আকবর নিজেও লুডু খেলেছেন। লুডু খেলা সারা বিশ্বে চললেও আমাদের উপমহাদেশে সর্বোচ্চ জনপ্রিয় একটি খেলা।
Read More

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু চর বা দ্বীপের তালিকা ও বিবরণ

১২/১৫/২০১৯ ০২:৫৯:০০ AM 0
বাংলাদেশের অসংখ্য চরের মধ্যে বিখ্যাত কিছু চর বা দ্বীপের তালিকা ও পরিচয়ঃ


১। সেন্ট মার্টিন্‌স চরঃ

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বিধায় একে স্থানীয়রা নারিকেল জিঞ্জিরা বলে থাকে।




২। সন্দ্বীপ উপজেলা চরঃ
সন্দ্বীপ উপজেলাটাই একটা দ্বীপ বা চর। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত উপজেলা। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৪৮৮ বর্গ কিমিঃ। প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্ব থেকে এই দ্বীপে মানুষের বসবাস।

চিত্রঃ জে. র‍্যানেল এর তৈরী করা ১৭৭৮ সালের মানচিত্রে সন্দ্বীপ



৩। নিঝুম চরঃ
নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি দ্বীপ, যা ১৯৪০ সালে জেগে উঠে। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ একটি ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান বা চর ইছামতি। এর আয়তন প্রায় ১৬৩.৪৫ বর্গ কিমি

চিত্রঃ ম্যাপে নিঝুম দ্বীপ



৪। ছেড়া দ্বীপঃ
ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, এগুলোকে একত্রে ছেড়া দ্বীপ বলা হয়। স্থানীয়রা ছেঁড়াদিয়া' বা 'সিরাদিয়া' বলে। মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা বলেই এমন নাম হয়েছে। এই এলাকাটি বাংলাদেশ সরকার কতৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জমি ক্রয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।

চিত্রঃ সেন্ট মার্টিন থেকে বিছিন্ন ছেড়া দ্বীপ



৫। ভোলা দ্বীপঃ
ভোলা দ্বীপ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম এখানে স্থায়ী বিদ্যুৎ পৌঁছায়।

চিত্রঃ ভোলা দ্বীপের সৌন্দর্য



৬। বঙ্গবন্ধু চরঃ
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বা পুটুনির দ্বীপ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান।

চিত্রঃ বঙ্গবন্ধু দ্বীপ, মংলা



৭। হাতিয়া দ্বীপঃ
হাতিয়া দ্বীপ হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তর দিকে অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায় একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি নোয়াখালী জেলায় পড়েছে। এই দ্বীপের আয়তন ৩৭১ বর্গ কিমিঃ। এই দ্বীপে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে।

চিত্রঃ হাতিয়া দ্বীপের একটি অংশ



৮। কুতুবদিয়া উপজেলা দ্বীপঃ
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা। এটি কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা ভূখণ্ড থেকে পৃথক রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ২১৫ বর্গ কিমিঃ

চিত্রঃ কুতুবদিয়া উপজেলার বিখ্যাত বাতিঘর



৯। মহেশখালী উপজেলা দ্বীপঃ
মহেশখালী উপজেলা কক্সবাজারের আরেকটি উপজেলা এবং দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৩৮৮ বর্গ কিমিঃ

চিত্রঃ ডিজিটাল মহেশখালী দ্বীপ



১০। শাহপরীর দ্বীপঃ
শাহপরীর দ্বীপ বা শিনমাব্যু দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। প্রথম ইংরেজ-বর্মী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই দ্বীপের দাবি করে। তবে এটি এখন বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। এর আয়তন ১৫০ বর্গ কিমিঃ

চিত্রঃ শাহপরীর দ্বীপ

এছাড়াও বাংলাদেশের অসংখ্য দ্বীপ ও চর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নোয়াখালি ও ভোলা জেলায় চর বেশী দেখা যায়।
Read More

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

মৃত পশু হারাম হলেও মৃত মাছ হারাম কেন? -ইসলামিক প্রশ্নোত্তর

১২/১২/২০১৯ ০৬:২৪:০০ PM 0
আমরা জানি, মৃত কোন প্রাণীর মাংশ ভক্ষন করা আমাদের ইসলাম ধর্মে জায়েজ নেই। এজন্য অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন মৃত প্রাণীতে ক্ষতিকর দিক থাকলে মৃত মাছেও ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

আসুন জেনে নিই আসল ঘটনা, কেন মৃত মাছ ইসলামে জায়েজ?

স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণীকে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে যায় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরেই মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেকারণেই এসব মৃত প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত। কেননা মাছ পানি (H2O) থেকে শুধু অক্সিজেন বিশ্লিষ্ট করে গ্রহণ করে এতে কোন কার্বন থাকেনা, এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার পরেও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়না। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মাছের মৃত্যু হলেও তার ভেতর ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। তাই মৃত মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর নয়।
মৃত মাছ

কুরআনে বলা হয়েছে,
  • তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত পশু - সূরা মায়েদাহঃ (৫:৩)
  • তোমাদের জন্য সমুদ্র শিকার ও তা খাওয়া হালাল করা হয়েছে - সূরা মায়েদাহ (৫:৯৬)

হাদিসে বলা হয়েছে,
হযরত ইবনে উমর(রা) হতে বর্ণিত। রাসূলাল্লাহ(সা) বলেনঃ আমাদের জন্য দু’প্রকার মৃত জন্তু এবং দু’প্রকার রক্ত ভক্ষণ করা হালাল করা হয়েছে। মৃত জন্তু হলো মাছ ও পংগপাল। আর রক্ত হলো কলিজা এবং প্লীহা। - (ইবনে মাজাহ)

Read More

Post Top Ad

Your Ad Spot