জানুয়ারী 2020 - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

গিনেজ বুক অব রেকর্ডে বাংলাদেশের সকল রেকর্ড

১/২১/২০২০ ০৫:৫৮:০০ AM 0
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে রয়েছে। নিম্নে কিছু রেকর্ড নাম তুলে ধরলামঃ

১। দলীয় সম্মলিত রেকর্ডঃ
  • ২০১৪ সালের ২৬ মার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন জন নিয়ে জাতীয় সংগীত (সোনার বাংলা) গাওয়ার রেকর্ড গড়ে ।
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

  • লাইফবয় হাত ধোয়ায় উৎসাহিত করতে ঢাকাতে ১১,১৭৫ জন মানুষের সমন্বয়ে বৃহত্তম হাতের আকৃতি তৈরি করে ১৪ অক্টোবর ২০১৭ গিনেস বুকে নাম লেখায়।[1]
  • ১১ ডিসেম্বর ২০০৪ পাঁচ মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতিতে ১,০৫০ কি.মি. (৬৫২.৪ মাইল) মানব শিকল তৈরি করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এ মানব শিকল তৈরি করে।[2]
  • এক সারিতে একসঙ্গে ১,১৮৬ জন সাইকেল চালিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশে সাইক্লিস্টদের অন্যতম বড় সংগঠন ‘বিডিসাইক্লিস্টস’। বিজয় দিবসে সংগঠনটি এই সাইকেল চালনার আয়োজন করেছিল।[3]
  • এ ব্যাপারে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষের দাবি,
  • ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল নিবন্ধিত ১৫ হাজার ৩১৩ জন নগরবাসী একযোগে ঝাড়ু দিয়েছিল। যা এ পর্যন্ত বিশ্বের একক কোনও ভেনুতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের ঝাড়ু দেওয়ার রেকর্ড। এটা গিনেজ বুকে স্থান পেয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয় ।[4]
২। ব্যক্তিগত রেকর্ডঃ
  • জোবেরা রহমান লিনু ১৯৭৭ থেকে ২০০১ কাল-পরিধিতে ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস- এ তার নাম উঠেছে।
  • সুদর্শন দাশ নামের এক বাঙালি ২০১৭ সালে ঢোল বাদক টানা ২৭ ঘণ্টা ঢোল বাজিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন।
  • আব্দুল হালিম ২০১৫ সালে ওয়ালটনের ব্যানারে ঢাকায় মাথায় বল নিয়ে দ্রুততম সময়ে স্কেটিং জুতা পরে ২৭.৬৬ সেকেন্ডে ১০০ মিটার অতিক্রম করে। ২০১৬ সালে গিনেজ বুক অব রেকর্ড এই স্বীকৃতি দেয়।।
  • আব্দুল হালিম মার্সেলের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১১ সালের ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ট্র্যাকে মাথায় বল নিয়ে টানা ১৫.২ কিমিঃ হেটে পূর্বের রেকর্ড ভেঙ্গে গিনেজ বুকে নাম লেখান।[5]
  • নোয়াখালীর কণক কর্মকার গিনেজ বুকে ৪ বার নাম লেখান।
    • ১ম বারঃ ১১৫০ টি প্লাস্টিকের গ্লাস এক মিনিট পাঁচ সেকেন্ড নিজের কপালে রেখে।[6]
    • ২য় বারঃ কপালে পঁচিশ মিনিট গিটার ব্যালেন্স করে দ্বিতীয়বার।[7]
    • ৩য় বারঃ ঘাড় দিয়ে এক মিনিটে ৩৬ বার ভলিবল ক্যাচ ধরে।[8] এবং
    • ৪র্থ বারঃ থুতনিতে ১৫ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড গিটার ব্যালেন্স করে।
    • গিনেস বুকে নাম লেখান।[9]
  • মাগুরার মাহমুদুল হাসান ফয়সাল সদ্য দুইবার নাম লেখান।
    • ১ম বারঃ ২০১৮ সালে হাতে এক মিনিটে ১৩৪ বার ফুটবল ঘুরিয়ে।[10]
    • ২০১৯ সালে এক মিনিটে ১৪৪ বার বাস্কেটবল ঘুরিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখান।[11]
  • মাসুদ রানা ঢাকাতে একটি সুইমিং পুলে মাথার উপর ফুটবল নিয়ে ৪৪.৯৫ সেকেন্ডে ৫০ মিটার সাঁতার কেটে গিনেস রেকর্ড করেন।[12]
  • ইমরান শরীফ ঢাকার রাস্তায় কারও সহযোগীতা না নিয়ে, একাই ২.৫২৭ কিলোমিটার ( ৮,২৯০ ফুট ৮.১৯ ইঞ্চি ) লম্বা পেপার ক্লিপ দিয়ে সিকল (চে’ন) তৈরি করে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ গিনেস বুকে উঠে আসেন।[13]
৩। আজব রেকর্ডঃ
  • বগুড়ার রজব আলী ১১৫ বছর বয়সে মারা যাওয়ার সময় ৫০০+ নাতী নাতনী রেখে মারা গিয়েছিলো। গিনেজ বুক এই তথ্য রেকর্ড করে রেখেছে।
  • যুগপৎ বিয়েঃ নরেন্দ্র নাথ ও তারামণি নাথের পাঁচ মেয়েকে বিয়ে করেছেন তারাপদ কর্মকার ও রাধা রানী রায়ের পাঁচ ছেলে। তাদের এই বিরল চিন্তা ভাবনা তৈরি করেছে বিশ্বরেকর্ড।
  • খন্দকার শিহাব আহমেদ নামের এক ছাত্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্ট্যাপলার পিনের চেইন তৈরি করেছেন। যেটি ৪২২ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। ২৭ হাজার পিন ব্যবহার করে তৈরি এই চেইন বানাতে শিহাবের খরচ হয়েছে ২৭০ টাকা।[14]
  • সবচেয়ে কম বয়সী বিবাহিত দম্পতিঃ ১৯৮৬ সালে পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার দু পরিবারের দ্বন্দ্ব মেটাতে ১১ মাসের এক ছেলের সাথে ৩ মাসের এক মেয়ের বিয়ে দেয়া হয়।


Read More

রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০

GDP ও GNP এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য

১/১৯/২০২০ ১১:৩৯:০০ PM 0

      GDP- Gross Domestic Product (সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন)

বাংলায় অনুবাদ করলে বলা যায় কোন একটি ভৌগোলিক অঞ্চলের স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, সংক্ষেপে জিডিপি নামে পরিচিত। 


একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ঐ অঞ্চলের ভেতরে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার মোট বাজারমূল্যকে বোঝায়, যা অঞ্চলটির অর্থনীতির আকার নির্দেশ করে। বিবেচ্য অঞ্চলটি যদি একটি দেশ হয়, তবে একে মোট দেশজ উৎপাদন নামেও ডাকা হয়। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে পণ্য ও সেবার উপর সংযোজিত মূল্যের সমষ্টি হিসেবেও দেখা হয়। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জিএনপি বা স্থূল জাতীয় উৎপাদন অর্থনীতি পরিমাপক হিসেবে ব্যবহৃত হত। 


জিডিপি এবং জিএনপি প্রায় সমার্থক, তবে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। জিডিপি একটি এলাকা নিয়ে চিন্তা করে যেখানে পণ্য বা সেবা উৎপাদিত হয়। অন্যদিকে জিএনপি (বা জিএনআই, মোট জাতীয় আয়) একটি অঞ্চলের উদ্ভূত আয় নিয়ে চিন্তা করে।



জিডিপি পরিমাপ ও বোঝার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হচ্ছে ব্যয় পদ্ধতি:

সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন = ভোগ + বিনিয়োগ + (সরকারী ব্যয়) + (রপ্তানি − আমদানি)

"গ্রোস" বা স্থূল  বলতে বোঝাচ্ছে মূলধনী মজুতের ওপর অবচয় গণনায় ধরা হয়নি। অবচয় হিসেব করলে এবং নীট বিনিয়োগ ধরলে পাওয়া যাবে নীট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন। এই সমীকরণের ভোগ ও বিনিয়োগ হচ্ছে চূড়ান্ত পণ্যের উপর ব্যয়। সমীকরণের রপ্তানি থেকে আমদানি বিয়োগের অংশটি (ক্রমসঞ্চয় রপ্তানি নামেও ডাকা হয়) এরপর এই ব্যয়ের যে অংশটি দেশে উৎপাদিত হয়নি তার সমতা রক্ষা করে।
অর্থনীতিবিদগণ সাধারণ ভোগকে দুভাগে ভাগ করেছেন; ব্যক্তিগত ভোগ এবং সরকারী খাত। তাত্ত্বিক সমষ্টিকেন্দ্রিক অর্থবিদ্যা অনুসারে ভোগকে দুই ভাগে বিভক্তের সুবিধা হচ্ছে:
  • ব্যক্তিগত ভোগ কল্যাণ অর্থশাস্ত্রের আলোচনার বিষয়। অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের ফলে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যক্তিগত ভোগ বৃদ্ধি পায়।
  • এর ফলে ব্যক্তিগত ভোগকে অভ্যন্তরীণ, সরকারী খাতকে বাহ্যিক বিবেচনা করা যায়। তাই সমষ্টিগত অর্থনীতিতে এর প্রয়োগ যথার্থ হয়।.


                 GNP - Gross national product 
                 GNI - Gross national Income
                          মোট জাতীয় আয়



GNI কে GNP বলে অভিহিত করা হয়। 
দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হিসাবের ক্ষেত্রে দুইভাবে করা হয়। 
  • জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন 
  • জিএনপি বা মোট জাতীয় উৎপাদন। 
এ দুইটির মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে জিডিপিতে শুধু দেশের ভেতরে উৎপাদিক পণ্য ও সেবা মূল্যকে ধরা হয়। আর জিএনপিতে বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বিদেশে কাজ করে তারা যে অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠায় তা সহ হিসাব করা হয়।
সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন



জিডিপিঃ একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি বা গ্রোস ডমেস্টিক প্রডাক্ট)। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি। জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। 
মূলত তিনটি খাতের সমষ্টি জিডিপি। বাংলাদেশে খাতগুলো হল কৃষি, শিল্প ও সেবা। জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান সেবা খাতের। 

জিএনপিঃ জিডিপি ও জিএনপি প্রায় সমার্থক। তবে সামন্য পার্থক্যও আছে। কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের জনগণ মোট যে পরিমাণ চূড়ান্ত দ্রব্য বা সেবা উৎপাদন করে তার অর্থমূল্যকে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি বলে। জাতীয় উৎপাদনের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারী ও কর্মরত বিদেশি ব্যক্তি ও সংস্থার উৎপাদন বা আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে বিদেশে বসবাসকারী ও কর্মরত দেশি নাগরিক, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও আয় অন্তর্ভুক্ত হবে।

অধ্যাপক মার্শালের মতে, কোন দেশের শ্রম ও মূলধন তার প্রাকৃতিক সমপদকে কাজে লাগিয়ে বার্ষিক যে পরিমাণ বস্তুগত ও অবস্তুগত দ্রব্য সামগ্রী ও সেবা কর্মের সৃষ্টি করে, তার সমষ্টিকে জিএনপি বলে।



Read More

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেতনের ১০ জন ব্যক্তি

১/১৯/২০২০ ০৩:০৭:০০ AM 0
বাংলাদেশের চাকরি করে সবচেয়ে বেশি বেতন পান ব্যাংকের এমডি বা সিইও’রা।

ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, 
২০১৭ সালে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৪৯ টি ব্যাংকের মধ্যে বার্ষিক বেতনঃ
  • ৯ টি ব্যাংকের এমডি বেতন পান ১.৫ কোটি টাকার উপরে।
  • ৪০ টি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বেতন পান ১.৫ কোটি টাকার মত।



১ম স্থানঃ আলী রেজা ইফতেখার, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
বার্ষিক বেতনঃ ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা
আলী রেজা ইফতেখার

ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের মধ্যে সর্বোচ্চ বেতন পান ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলী রেজা ইফতেখার। ২০১৭ সালে বেতন-ভাতা বাবদ বেসরকারি এই ব্যাংকটির কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন ২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ হিসাবে তিনি ব্যাংকটি থেকে প্রতি মাসে পেয়েছেন গড়ে ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বেতন ভাতার দিক দিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে তিনিই সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন।

২য় স্থানঃ আনিস এ খান, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৮২ লাখ
আনিস এ খান

২০১৭ সালে দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা পেয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি ও সিইও আনিস এ খান। বেতন-ভাতা বাবদ ব্যাংকটি তাকে পরিশোধ করেছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সে হিসেবে তিনি প্রতি মাসে গড়ে ১৫ লাখ ২৩ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন।

৩য় স্থানঃ সোহেল আরকে হোসেন, দ্য সিটি ব্যাংক
বেতনঃ ১ কোটি ৭৫ লাখ

তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পেয়েছেন দ্য সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও সোহেল আরকে হোসেন। গত বছর বেতন-ভাতা বাবদ ব্যাংকটি পরিশোধ করেছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যাংকটি থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি।

৪র্থ স্থানঃ মো. মেহমুদ হোসেন, এনআরবি ব্যাংক
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৬০ লাখ 
চতুর্থ পর্যায়ে আছেন এনআরবি ব্যাংকের এমডি মো. মেহমুদ হোসেন। বিদায়ী বছর তিনি পেয়েছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ এনআরবি ব্যাংক তাকে পরিশোধ করেছে ১৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

৫ম স্থানঃ ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৬২ লাখ
বেতন-ভাতা পাওয়ার দিক দিয়ে এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া রয়েছেন পঞ্চম সর্বোচ্চ অবস্থানে। গত বছর বেতন-ভাতা বাবদ তিনি ব্যাংকটি থেকে পেয়েছেন ১ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে ব্যাংকটি।

৬ষ্ঠ স্থানঃ কাজী মসিহুর রহমান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৬১ লাখ

তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের এমডি কাজী মসিহুর রহমান। ২০১৭ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যাংকটি থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ মার্কেন্টাইল ব্যাংকটির প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হয়েছে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।



৭ম স্থানঃ মো. হাবিবুর রহমান, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক

বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৫৮ লাখ

প্রতি মাসে গড়ে ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা বেতন-ভাতা পেয়েছেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী মো. হাবিবুর রহমান। ২০১৭ সালে তিনি ব্যাংকটি থেকে মোট আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত বছর শীর্ষ নির্বাহীদের মধ্যে এটা সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন-ভাতা। ২০১৬ সালে হাবিবুর রহমান ১ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন।

৮ম স্থানঃ এম শাহ আলম সারওয়ার, আইএফআইসি ব্যাংক
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৫১ লাখ
২০১৬ সালে উচ্চবেতন-ভাতা প্রাপ্ত শীর্ষ নির্বাহীদের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও বিদায়ী বছরে কিছুটা পিছিয়ে অষ্টম স্থানে নেমে গেছেন আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি ও সিইও এম শাহ আলম সারওয়ার। বেতন-ভাতা বাবদ ২০১৭ সালে ব্যাংকটি তাকে পরিশোধ করেছে ১ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ হিসাবে আইএফআইসি ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতা বাবদ প্রতি মাসে গড়ে ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন এ ব্যাংকার। এর আগের বছরও ব্যাংকটি থেকে সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পেয়েছিলেন এম শাহ আলম সারওয়ার।

৯ম স্থানঃ শফিকুল আলম, যমুনা ব্যাংক
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৫০ লাখ
প্রতি মাসে গড়ে ১২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা বেতন-ভাতা পেয়ে উচ্চবেতন-ভাতা প্রাপ্ত শীর্ষ নির্বাহীদের তালিকায় নবম স্থানে আছেন যমুনা ব্যাংকের এমডি শফিকুল আলম। ২০১৭ সালে তিনি ব্যাংকটি থেকে বেতন-ভাতা পেয়েছেন মোট ১ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে শফিকুল আলম যমুনা ব্যাংক থেকে ১ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলেন।
১০ম স্থানঃ এম ফখরুল আলম, ওয়ান ব্যাংক
বার্ষিক বেতনঃ ১ কোটি ৪২ লাখ
উচ্চবেতন-ভাতা প্রাপ্ত শীর্ষ নির্বাহীদের তালিকায় দশম স্থানে আছেন ওয়ান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফখরুল আলম। তিনি ২০১৭ সালে ব্যাংকটি থেকে মোট বেতন-ভাতা পেয়েছেন ১ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতি মাসে ওয়ান ব্যাংক থেকে এম ফখরুল আলম ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা করে বেতন-ভাতা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি ব্যাংকটি থেকে বেতন-ভাতা বাবদ পেয়েছিলেন ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
আসলে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় এমডিদের নিদিষ্ট কোন বেতন কাঠামো থাকেনা। প্রতিবছর তাদের ব্যাংকের বা কোম্পানির গতিবিধির উপর কোম্পানির এইচআর ডিপার্টমেন্ট কোম্পানির উচ্চ পদস্থ কর্মীদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে। সে হিসাবে কোম্পানির বা ব্যাংকের সিইও সর্বদাই উচ্চ বেতন ভোগ করে থাকে। 

Read More

বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০

বিশ্বের সবচেয়ে মোটা ব্যক্তিদের তালিকা ও খবরা-খবর

১/১৬/২০২০ ০৫:০৪:০০ AM 0
পৃথিবীর কিছু পরিচিত মোটা ব্যক্তিদের পরিচয় ও ছবি দেখুনঃ

১। জন ব্রোয়ার মিনশঃ পুরুষ, ওজন ৬৩৫ কেজি, ৬ ফুট ১ ইঞ্চি

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাসিন্দা তিনি। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজনের মানুষ তিনিই। শারীরিক সমস্যার জন্য ১৯৮৩ সালে তিনি মারা যান।




২। খালিদ বিন মহসিন শারিঃ পুরুষ, ওজন ৬১০ কেজি, ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি

জন্ম ১৯৯১, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী ওজনের জীবিত ব্যক্তি। চলাফেরাতে অক্ষম হওয়ায় টানা ২ বছর সৌদি আরবের এই যুবক বাড়িতেই থাকতেন। পরে জানলা ভেঙে ক্রেনে করে তাঁকে
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।




৩। ম্যানুয়েল ইউরাইবঃ পুরুষ, ওজন ৫৯৭ কেজি, ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি

২০০৬ সালে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখান। ১০ বছর তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। পরে সার্জারি করে ৩০০ কিলো ওজন কমিয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৪৮ বছর বয়সে ২০১৪ সালে তিনি মারা যান।




৪। জুয়ান পেদ্রো ফ্রাঙ্কো সালাসঃ পুরুষ, ওজন ৫৯৫ কেজি

উত্তর মেক্সিকোর বাসিন্দা তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে মোটা ব্যক্তি হিসেবে ২০১৬ সালে গিনেস রেকর্ডে নাম লেখান। কোন দুর্বোধ্য রোগে প্রতি বছর তার ওজন প্রায় ১০ কেজি করে বৃদ্ধি পেতো। ৬ বছরে ৬০ কেজি এবং ১৭ বছরে ২০০ কেজি ওজন হয় তার দেহের। তবে ২০১৮ সালে অস্ত্রোপাচার করে তার ওজন ৩৭৫ কেজি করে দেওয়া হয় এবং পাকস্থলী ছোট করে দেওয়া হয়, এখনো বেঁচে আছেন তিনি।




৫। ক্যারল এগারঃ নারী, ওজন ৫৪৪ কেজি, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি

রেকর্ড অনুযায়ী তিনিই মেয়েদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওজনের মানুষ। তিনি ১৯৯৪ সালে মারা যাওয়ার পর জানলা ভেঙে তাঁকে বের করতে হয়।




৬। রবার্ট বালটারঃ পুরুষ, ওজন ৫৪৪ কেজি,


তিনি ২০০৬ সালেও ৪০৮ কেজি ছিলেন। অতিরিক্ত স্থুলতার কারণে ২০১৫ সালে তিনি ইন্তিকাল করেন।




৭। ওয়াল্টার হাডসনঃ পুরুষ, ৫৪৩ কেজি, ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি

কোনওরকম ওয়ার্কআউট না করা এবং জাঙ্ক ফুড প্রেমীদের সবথেকে বড় উদাহরণ বোধহয় ওয়াল্টার। ৫৪৩ কিলোর ওয়াল্টার নিজের বাথরুমের দরজাতেই আটকে গিয়েছিলেন। মাত্র ১২ বছরই তাঁর ওজন ছিল ১০০ কিলো। একাধিক বার সার্জারি করিয়েও তাঁর ওজন কমানো যায়নি। ২০১৩ সালে তিনি মারা যান।




৮। মাইকেল ওয়াকারঃ পুরুষ, ৫৩৮ কেজি, ৬ ফুট ২ ইঞ্চি


যুক্তরাষ্ট্রে লোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৪৪ বছর বয়সেই তার ওজন ছিলো ১৬৭ কেজি। কিন্তু এরপরে তার ওজন শুধু বৃদ্ধিই পেতে থাকে।




৯। এমান আহমেদ আবদেল আতিঃ নারী, ওজন ৫০০ কেজি।

তিনি একজন মিশরীয় নারী। অতি ওজনের জন্য শারীরিক জটিলতায় ২০১৭ সালে মারা গিয়েছেন।




১০। মাইকেল হেব্রাঙ্কোঃ পুরুষ, ৪৯৯ কেজি, ৬ ফুট

ওবেসিটির এক ব্যতিক্রমী ঘটনা। ৪৯৯ কিলোর মাইকেল ১৯৯০ সালে ৪০০ কিলো ওজন কমিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন। কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে যান।




১১। প্যাট্রিক ডিউয়েলঃ পুরুষ, ৪৮৬ কেজি, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি

‘হাফ টন ম্যান’ তথ্যচিত্রটি তাঁকে নিয়েই তৈরি। ওজন ৪৮৬ কিলো। ৭ বছর তিনি শুধুমাত্র বিছানায় শুয়ে কাটিয়েছেন। তবে সার্জারির পরে ওজন কমে এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি।




১২। রিকি ন্যাপুটিঃ ওজন ৪০০ কেজি


প্রশান্ত মহাসাগরের গুয়াম দ্বীপে রিকি ন্যাপুটি নামে এই পুরুষ বাস করতেন। তিনি বিছানা থেকে নড়তেই পারতেন না। তিনিও অরিরিক্ত স্থুলতার জন্য ২০১২ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান।






Read More

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রসহ তালিকা

১/১৩/২০২০ ০৩:২৭:০০ AM 0
শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হলঃ
নাম———————————————দেশ——-শিক্ষার্থী সংখ্যা—স্থাপিত সন
ইন্দিরা গান্ধী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়,ভারত

২। আল্লামা ইকবাল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, পাকিস্থান - ৩২ লক্ষ, ১৯৭৪ সাল
আল্লামা ইকবাল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

৩। ক্যালিফোর্নিয়া সমন্বিত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র - ২১ লক্ষ, ১৯৬৭ সাল
সানফ্রানসিসকোতে সমন্বিত কলেজের হেড কোয়ার্টার, যুক্তরাষ্ট্র

৪। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, বাংলাদেশ - ২০ লক্ষ, ১৯৯২ সাল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ

৫। এনাদুলু বিশ্ববিদ্যালয়, তুর্কি - ১৯ লক্ষ, ১৯৫৮ সাল
এনাদুলু বিশ্ববিদ্যালয়, তুর্কি

৬। ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান - ১১ লক্ষ, ১৯৮২ সাল
ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়, ইরান

৭। গ্লোবাল বিজয়ী শিক্ষা, বিশ্বব্যাপী, ৮.৭৫ লক্ষ, ১৯৯৯ সাল
দেশে দেশে বিভিন্ন কলেজের মধ্যে একটি অন্যতম কলেজ, কেনদাল কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র 

৮। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, ৬.৫০ লক্ষ, ১৯৯২ সাল
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

৯। ইন্দোনেশিয়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্দোনেশিয়া, ৬.৪৬ লক্ষ, ১৯৮৪ সাল
তারবুকা বিশ্ববিদ্যালয়, যা ইন্দোনেশিয়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত

১০। নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র, ৬.০৬ লক্ষ, ১৯৪৮ সাল
স্টেট ইউনিভারসিটি, নিউইয়র্ক 

১১। ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়, নেপাল, ৬.০৪ লক্ষ, ১৯৫৯ সাল
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়, নেপাল 

১২। চৌধুরী চরন সিং বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, ৫.৬০ লক্ষ, ১৯৬৫ সাল
চৌধুরী চরন সিং বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত

১৩। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, ৫.৪৯ লক্ষ, ১৮৫৭ সাল
মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত

১৪। রামখাঁয়েং বিশ্ববিদ্যালয়, থাইল্যান্ড, ৫.২৫ লক্ষ, ১৯৭১ সাল
রামখাঁয়েং বিশ্ববিদ্যালয়,থাইল্যান্ড

১৫। সাবিত্রিভাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, ৫.০০ লক্ষ, ১৯৪৮ সাল 
সাবিত্রিভাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়,ভারত


>> প্রদীপ্ত দেলোয়ার


Read More

Post Top Ad

Your Ad Spot