দেশে দেশে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটিসমূহ - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০

দেশে দেশে মার্কিন সেনাদের ঘাঁটিসমূহ

বিশ্বজুড়েই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও সামরিক সৈন্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ।আসুন দেখে নিই কোন কোন দেশে কি পরিমাণ সৈন্য রয়েছে। [1][2]
মধ্যপ্রাচ্যের তেলের খনি মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে দেখুন-
১। কুয়েতঃ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্ররাষ্ট্র কুয়েত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি। দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি। যেখানে রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য।
২। কাতারঃ মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে। এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার। বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে।
৩। আফগানিস্তানঃ আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা ১৩,৩২৯ জন। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার অভিযোগ এনে এই সৈন্য পাঠানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটি হচ্ছে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ।
৪। বাহরাইনঃ বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র৷ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা। বর্তমানে সেখানে ৭ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
৫। ইরাকঃ ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কত সৈন্য রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না। তবে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে। যার সংখ্যা আনুমানিক ৬ হাজার।
চিত্রঃ ইরাকের বাগদাদে মার্কিন সৈন্য
৬। সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ৫ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন।
৭। জডার্নঃ ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে জডার্নের। কৌশলগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান এটি। দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী হামলা চালানো হয়েছে।
৮। সৌদি আরবঃ সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ হাজার সেনাসদস্য রয়েছে। অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরো সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।
৯। তুরস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও। দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশ কিছু জায়গায় ২.৫ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।
১০। সিরিয়াঃ সিরিয়ার কোথায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সংখ্যক সৈন্য রয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশিত নয়। তবে বর্তমানে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে। যেসব ঘাঁটি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে। এর কাছেই রয়েছে ইরান ও তাদের সমর্থিত বাহিনী।
১১। ওমানঃ ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান। বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
১২। সোমালিয়াঃ সোমালিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। এদেশে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে তারা এদেশে অবস্থান করছে।
১৩। লিবিয়াঃ সরকারিভাবে লিবিয়ায় মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা সীমিত। কিন্তু সৈন্যরা এখানেও তৎপর রয়েছে।

আরো কিছু উন্নত দেশে দেশে মার্কিন ঘাঁটি-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান, জার্মানি ও ইতালি ছিল এক পক্ষে এবং তারা পরাজিত হয়েছিল।যুদ্ধ শেষের আজ ৭০ বছর পর
  • জার্মানিতে ১৭২টি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।
  • ইতালিতে ১১৩টি এবং মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।
  • জাপানে ৮৪টি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।
  • দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে ৮৩টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।
  • এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া, বুলগেরিলা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, সৌদি আরব, কাতার ও কেনিয়াসহ বিশ্বের ৮০টি দেশ ঘাঁটি গড়ে তুলেছে আমেরিকা
  • ইরানের আশে পাশে ১৯টি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot