সুখে থাকার মূল মন্ত্র - মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

সুখে থাকার মূল মন্ত্র - মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন

সুখ শান্তি এই পৃথিবীর সকল মানুষের একান্ত কাম্য বিষয় । এই যে আমরা সারাদিন এতো পরিশ্রম করছি,পড়াশোনা করছি  এগুলো দিন শেষে একটু ভালো থাকার জন্য,পরিবারকে ভালো রাখার জন্য ।
তাই সুখে থাকার কিছু টিপস হিসেবে এগুলো পড়ে দেখতে পারেন অবশ্যই উপকৃত হবেন ।

আমরা যদি কিছু মৌলিক বিষয় কাটিয়ে তুলতে পারি তাহলে আমরা আমাদের অশান্তির জীবন কিছুটা হলেও কাটিয়ে তুলতে পারবো ।

১। পজিটিভ ধারণা রাখুনঃ 

মানুষ সামাজিক জীব,সবার সাথে এদের উঠা-বসা । যদি সমাজের অধিকাংশ মানুষ সম্পর্কে আপনার ধারণা নেতিবাচক বা সংশয়বাদি হয় তাহলে আপনি সারাক্ষণ অস্বস্তিতে ভুগবেন,মেজাজ খিটখিটে থাকবে ।তাই মানুষের মধ্যে সবসময় ভালো গুণ গুলো খুজুন, খারাপ গুণ গুলো মানিয়ে চলুন ।
যেমনঃ এই মানুষটির সঙ্গে আমি কেন চলবো এইটা খুজুন ।আমি কেন তাঁর সাথে চলবো না এই প্রশ্ন বাদ রাখুন । সবসময় সবাইকে ভালো জানুন ও ভালো বলুন ।আপনার চোর বন্ধুটিকেও আপনি ভালো বলুন,তাঁর পজিটিভ গুণ গুলো তাকে বলে দিন,দেখবেন সে আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পরেছে ।সে আর সবার সাথে খারাপ কিছু করলেও আপনার সাথে খারাপ কিছু করবে না । কখনো কারো প্রতি সংশয়বাদি হবেন না ।তাঁর মধ্যে কিছু পরিমান ভালো গুণ থাকলে সেই গুণ গুলো আপনি ধারণ করুন । এই পজিটিভ ধারণা আপনাকে সবসময় চিন্তামুক্ত রাখবে আপনাকে সুখী রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ।

২। নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখুনঃ

আমরা সবাই জানি অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কর্মকান্ডের কারখানা । আপনি যদি অলস ভাবে সময় কাটান তাহলে সবেচেয়ে বড় ব্যপার যেটা ঘটবে সেটা হল,আপনার চিন্তা-ভাবনা কাজ-কর্ম সবকিছু অলস প্রকৃতির ও খারাপ দিকে দিক বদল করবে । ফলে আপনি ধীরে ধীরে হতাশার সাগরে ডুবে যেতে থাকবেন ।ব্যপারটা এত ধীরে ধীরে ঘটবে যে,যখন এই মানসিক অবনতি প্রক্রিয়াধীন থাকবে তখন আপনি বুঝতেই পারবেন না হতাশার সাগরে ডুবে যাচ্ছেন আপনি ।তাই সবসময় আপনি ভালো কিছু কাজ নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, এর বিনিময়ে আপনি অল্প অল্প সফলতা পাবেন ।এটাই আপনাকে সুখী করে তুলবে ।

সুখী থাকুন মডেলে এক তরুণী 


৩। পরিতৃপ্ত থাকুনঃ

পরিতৃপ্ত থাকা অর্থাৎ নিজেই নিজের কাছে সুখী থাকা এটা সুখী থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় । মানুষের অভাব সীমাহীন ।আপনি আজকে আপনার একটা চাহিদা পূরণ করবেন,আগামীকাল আরো দুইটা প্রয়োজন আপনার সামনে ধরা দিবে ।এ দুইটা পূরণ করার সাথে সাথে আরো চারটা অভাব জন্ম নিবে আপনার মাঝে ।এভাবে চলতেই থাকবে অভাব,শেষ হবেনা কখনো । তাই আপনার যা কিছু আছে আপনি তাই নিয়ে পরিতৃপ্ত থাকুন আর নিজের সাধ্যনুযায়ী নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখুন ।মানুষের সফলতা দেখে বিচলিত হবেন না,কারণ সফলতার নিদিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই । আর সফলতা মানুষকে সুখ-শান্তি দিতে পারেনা । একজন গরীব অসহায় মানুষও সুখে থাকতে পারে সে যদি পরিতৃপ্ত থাকে ।

৪। সম্পর্কসমূহ ভালো রাখুনঃ

সবসময় চেষ্টা করুন আপনার আশে-পাশের মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করার ।যখন আপনি আশে পাশের মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন তখন সবার সাথে আপনার সুমিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হবে এটা আপনাকে নিশ্চিন্তে রাখবে । যখন আপনার পরিবার,প্রতিবেশী বা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক খারাপ থাকবে এটা আপনার মনের মধ্যে মানসিক অশান্তি তৈরি করবে যা আপনাকে অসুখী করে তুলবে । তাই সবসময় আশে পাশের মানুষদের ভালোবাসুন তাঁদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখুন ।

৫। নিজেকে সুখী ভাবুনঃ

আপনি আপনার মনকে যা বুঝাবেন আপনার মন সেটাই বুঝবে । আপনি যদি মনে করেন যে আপনি অসুখী তাহলে আপনার সুখে থাকার যত উপাদানই থাকুক না কেন আপনি অসুখী অবস্থায় দিন কাটাতে থাকবেন । তাই সবসময় নিজেকে সুখী ভাবুন । কখনোই নিজে কষ্টে আছেন এটা ভাববেন না । সবসময় কষ্টটা বরন করে নিয়ে নিজেকে সুখী ভাবুন । তাহলেই আপনি প্রকৃত সুখী হতে পারবেন ।

৬। নিজেকেও কিছুটা সময় দিনঃ

সবাইকে সুখী করার পর,সবাইকে সময় দেওয়ার পর নিজেকেও কিছুটা সময় দিন ।নিজের কাছে প্রশ্ন করুন আমি কি করছি সাম্প্রতিক সময়ে ? এই সমস্ত কাজ গুলো কি আমাকে সুখী করতে ? সবকিছুর মাঝেও একাকী সময় কাটান কিছুটা,একান্ত নিজের জন্য,নিজস্ব চিন্তা ও কাজের জন্য । নিজের সাথে কথা বলুন দেখবেন ভালো লাগবে । নিজের সাথে ধ্যান করুন ।চিন্তা করুন নিজেকে নিয়ে আর নিজের কাজ নিয়ে ।

৭। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুনঃ

সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুশাসনকে সুখী থাকার জন্য উপেক্ষা করে দেখা হচ্ছে । কিন্তু আপনি উপরোক্ত সব গুলো মেনে চলেও যদি ধর্মীয় বিশ্বাসী না হন তাহলে আপনাকে সহজেই হতাশা গ্রাস করে ফেলতে পারে । কারণ ধর্মীয় নীতিমালা আপনাকে এমন কিছু বলছে,যাতে এই পৃথিবীর পাওয়া না পাওয়াই সব না । আখিরাতে চূড়ান্ত পাওয়া না পাওয়ার হিসাব হবে । তাই আপনি যদি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন তাহলে আপনার নিজেকে সংবরন করা,পরিতৃপ্ত থাকা সহ আপনার মনকে শান্ত রাখবে ।দুনিয়ার না পাওয়া আপনাকে ব্যথিত করবে না ।এটাই আপনার সুখী থাকার সবচেয়ে বড় পাথেয় হিসাবে কাজ করবে । তাই সুখী থাকতে অবশ্যই ধর্মীয় দিক নির্দেশনা মেনে চলুন ।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot