বাংলাদেশের অসংখ্য চরের মধ্যে বিখ্যাত কিছু চর বা দ্বীপের তালিকা ও পরিচয়ঃ
১। সেন্ট মার্টিন্স চরঃ
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বিধায় একে স্থানীয়রা নারিকেল জিঞ্জিরা বলে থাকে।
২। সন্দ্বীপ উপজেলা চরঃ
সন্দ্বীপ উপজেলাটাই একটা দ্বীপ বা চর। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত উপজেলা। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৪৮৮ বর্গ কিমিঃ। প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্ব থেকে এই দ্বীপে মানুষের বসবাস।
চিত্রঃ জে. র্যানেল এর তৈরী করা ১৭৭৮ সালের মানচিত্রে সন্দ্বীপ
৩। নিঝুম চরঃ
নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি দ্বীপ, যা ১৯৪০ সালে জেগে উঠে। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ একটি ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান বা চর ইছামতি। এর আয়তন প্রায় ১৬৩.৪৫ বর্গ কিমি
চিত্রঃ ম্যাপে নিঝুম দ্বীপ
৪। ছেড়া দ্বীপঃ
ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, এগুলোকে একত্রে ছেড়া দ্বীপ বলা হয়। স্থানীয়রা ছেঁড়াদিয়া' বা 'সিরাদিয়া' বলে। মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা বলেই এমন নাম হয়েছে। এই এলাকাটি বাংলাদেশ সরকার কতৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জমি ক্রয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।
চিত্রঃ সেন্ট মার্টিন থেকে বিছিন্ন ছেড়া দ্বীপ
৫। ভোলা দ্বীপঃ
ভোলা দ্বীপ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম এখানে স্থায়ী বিদ্যুৎ পৌঁছায়।
চিত্রঃ ভোলা দ্বীপের সৌন্দর্য
৬। বঙ্গবন্ধু চরঃ
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বা পুটুনির দ্বীপ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান।
চিত্রঃ বঙ্গবন্ধু দ্বীপ, মংলা
৭। হাতিয়া দ্বীপঃ
হাতিয়া দ্বীপ হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তর দিকে অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায় একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি নোয়াখালী জেলায় পড়েছে। এই দ্বীপের আয়তন ৩৭১ বর্গ কিমিঃ। এই দ্বীপে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে।
চিত্রঃ হাতিয়া দ্বীপের একটি অংশ
৮। কুতুবদিয়া উপজেলা দ্বীপঃ
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা। এটি কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা ভূখণ্ড থেকে পৃথক রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ২১৫ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ কুতুবদিয়া উপজেলার বিখ্যাত বাতিঘর
৯। মহেশখালী উপজেলা দ্বীপঃ
মহেশখালী উপজেলা কক্সবাজারের আরেকটি উপজেলা এবং দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৩৮৮ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ ডিজিটাল মহেশখালী দ্বীপ
১০। শাহপরীর দ্বীপঃ
শাহপরীর দ্বীপ বা শিনমাব্যু দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। প্রথম ইংরেজ-বর্মী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই দ্বীপের দাবি করে। তবে এটি এখন বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। এর আয়তন ১৫০ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ শাহপরীর দ্বীপ
এছাড়াও বাংলাদেশের অসংখ্য দ্বীপ ও চর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নোয়াখালি ও ভোলা জেলায় চর বেশী দেখা যায়।
১। সেন্ট মার্টিন্স চরঃ
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। এখানে প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বিধায় একে স্থানীয়রা নারিকেল জিঞ্জিরা বলে থাকে।
২। সন্দ্বীপ উপজেলা চরঃ
সন্দ্বীপ উপজেলাটাই একটা দ্বীপ বা চর। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত উপজেলা। এটি বাংলাদেশের অত্যন্ত প্রাচীন একটি দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৪৮৮ বর্গ কিমিঃ। প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্ব থেকে এই দ্বীপে মানুষের বসবাস।
চিত্রঃ জে. র্যানেল এর তৈরী করা ১৭৭৮ সালের মানচিত্রে সন্দ্বীপ
৩। নিঝুম চরঃ
নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত ছোট্ট একটি দ্বীপ, যা ১৯৪০ সালে জেগে উঠে। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ একটি ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান বা চর ইছামতি। এর আয়তন প্রায় ১৬৩.৪৫ বর্গ কিমি
চিত্রঃ ম্যাপে নিঝুম দ্বীপ
৪। ছেড়া দ্বীপঃ
ছেঁড়া দ্বীপ হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে দক্ষিণের সর্বশেষ বিন্দু। সেন্ট মার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, এগুলোকে একত্রে ছেড়া দ্বীপ বলা হয়। স্থানীয়রা ছেঁড়াদিয়া' বা 'সিরাদিয়া' বলে। মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা বলেই এমন নাম হয়েছে। এই এলাকাটি বাংলাদেশ সরকার কতৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে জমি ক্রয় স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ।
চিত্রঃ সেন্ট মার্টিন থেকে বিছিন্ন ছেড়া দ্বীপ
৫। ভোলা দ্বীপঃ
ভোলা দ্বীপ বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ যার আয়তন ১২২১ বর্গ কিলোমিটার। এটা বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ভোলা জেলার বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম এখানে স্থায়ী বিদ্যুৎ পৌঁছায়।
চিত্রঃ ভোলা দ্বীপের সৌন্দর্য
৬। বঙ্গবন্ধু চরঃ
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বা পুটুনির দ্বীপ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান।
চিত্রঃ বঙ্গবন্ধু দ্বীপ, মংলা
৭। হাতিয়া দ্বীপঃ
হাতিয়া দ্বীপ হচ্ছে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর এলাকার উত্তর দিকে অবস্থিত মেঘনা নদীর মোহনায় একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি নোয়াখালী জেলায় পড়েছে। এই দ্বীপের আয়তন ৩৭১ বর্গ কিমিঃ। এই দ্বীপে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে।
চিত্রঃ হাতিয়া দ্বীপের একটি অংশ
৮। কুতুবদিয়া উপজেলা দ্বীপঃ
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার একটি দ্বীপ উপজেলা। এটি কুতুবদিয়া চ্যানেল দ্বারা ভূখণ্ড থেকে পৃথক রয়েছে। এর আয়তন প্রায় ২১৫ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ কুতুবদিয়া উপজেলার বিখ্যাত বাতিঘর
৯। মহেশখালী উপজেলা দ্বীপঃ
মহেশখালী উপজেলা কক্সবাজারের আরেকটি উপজেলা এবং দ্বীপ। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৩৮৮ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ ডিজিটাল মহেশখালী দ্বীপ
১০। শাহপরীর দ্বীপঃ
শাহপরীর দ্বীপ বা শিনমাব্যু দ্বীপ নাফ নদীর মোহনায় বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। প্রথম ইংরেজ-বর্মী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই দ্বীপের দাবি করে। তবে এটি এখন বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। এর আয়তন ১৫০ বর্গ কিমিঃ
চিত্রঃ শাহপরীর দ্বীপ
এছাড়াও বাংলাদেশের অসংখ্য দ্বীপ ও চর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে নোয়াখালি ও ভোলা জেলায় চর বেশী দেখা যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন