ছাত্র অবস্থায় অর্থোপার্জনের সুন্দর কিছু উপায় - Prodipto Delwar

Unordered List

ads

Hot

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ছাত্র অবস্থায় অর্থোপার্জনের সুন্দর কিছু উপায়

ছাত্র বাংলাদেশের একটি বৃহৎ অংশ। অনেক সময়ই দেখা যায় ছাত্ররা অর্থাকষ্টে ভুগছে। আমার মনে হয় তারা যদি এই সাধারণ কিছু ফর্মুলা ব্যবহার করতে পারে তাহলে এই অর্থের অভাব কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। 

আসুন দেখে নিই কীভাবে সে খন্ডকালীন চাকরী করে অর্থোপার্জন করতে পারে।

১। টিউশনিঃ একটা ছাত্র পড়াশোনার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেই জ্ঞান বিতরন তথা টিউশনি/ প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই জ্ঞান বিতরণ আপনার যেমন জ্ঞানকে শাণিত করবে এবং কিছু আর্থিক লাভবানও হবেন।
২। ছোট খাটো ব্যবসাঃ অর্থ উপার্জনের জন্য প্রথম শর্ত কোন কাজকেই ছোট করে দেখা যাবেনা। যেকোন বৈধ্য পথে উপার্জনকেই আপনার সন্মানের চোখে দেখতে হবে এবং এই কাজ করতে কুণ্ঠিত হওয়া যাবেনা। কী কী ব্যবসা আপনি করতে পারেন তার একটি তালিকাঃ
ক) আপনি যেসব পন্য সহজে নষ্ট হয়না এবং আপনার রুমে এসে নিয়ে যেতে পারে এমন পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এবং সেই পন্যের চাহিদা আপনার ক্যাম্পাস/কলেজে থাকতে হবে। যেমনঃ আপনার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো করা শার্ট, প্যান্ট, টি শার্ট। আশা করি ব্যাপক বিক্রি হবে বড় ধরনের ঝামেলা ছাড়াই।
খ) নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যা ছাত্রদের সবসময় লাগে এমন পন্য আপনি বিক্রি করতে পারেন। যেমনঃ কলম,খাতা,সাবান,শ্যাম্পু সহ বিভিন্ন কিছু। আপনি অল্প করে কিনে রাখতে পারেন। দেখা যাবে আপনার কলেজের সবাই আপনার থেকেই সবকিছু কেনাকাটা করছে। আপনি যদি লজ্জা-শরম ত্যাগ করে শুরু করতে পারেন। অবশ্যই লাভবান হবেন।
গ) আমাদের ক্যাম্পাসে শাওন নামে জুনিয়র শরবত বানিয়ে বিক্রি করে বিকেল বেলা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সে লজ্জা না পেয়ে কাজ শুরু করেছে। এখন সবাই এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। ক্যাম্পাসের সবাই তার দোকান থেকে শরবত খাই আমরা। প্রচুর ভিড় থাকে শাওনের দোকানে। মাসে অন্তত ২৫ হাজার টাকা হচ্ছে। আসল কথা কাজকে লজ্জা পাওয়া যাবেনা।
ছাত্র অবস্থায় অর্থোপার্জন

৩। আউটসোর্সিংঃ আপনি যদি কিছু লজ্জা মনে করেন আর আপনার হাতে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে ঘরে বসেই আউটসোর্সিং করতে পারেন। আপনার সুবিধামত সময়ে কাজ করে নিজের খরচ নিজেই চালানোর মত উপার্জন অনায়সে করতে পারবেন।
৪। অনলাইন দক্ষতাঃ বর্তমান এই অনলাইনের যুগে আপনি যদি ভালো ভিডিও ইডেটিং এর কাজ জানেন তাহলে ইউটিউব থেকে প্রচুর উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন,ফটো ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইন এর কাজ জানেন তাহলে এসব কাজের কোন অভাব হবেনা এবং সাথে টাকা পয়সা দারুন ইনকাম হবে। এটাকে প্রফেশনাল হিসাবেও বেছে নিতে পারেন পরবর্তীতে।
৫। গ্রুপ বিজনেসঃ আপনাদের কিছু বন্ধু মিলে একটা গ্রুপ খুলে নিতে পারেন। আপনারা সবাই যদি অল্প অল্প কিছু টাকাও দেন তাহলে একটা মোটামুটি এমাউন্ট চলে আসবে আপনাদের হাতে। সেই টাকা দিয়ে আপনারা শুরু করতে পারো যেকোন ফার্মের বা সুবিধা ও চাহিদা দেখে যে কোন একটা ব্যবসা। এটা আপনাদের পরবর্তী জীবনে খুব উপকারেও আসবে।

সবশেষে একটি কথা অবশ্যই স্পষ্টভাবে বলতে হবে পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই পরিশ্রম করুন অর্থের অভাব থাকবেনা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Top Ad

Your Ad Spot