বর্তমানে বিশ্বে খ্রিষ্টান ৩৩%, মুসলিম ২৩%, হিন্দু ১৩%। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টার গবেষণা মতে বর্তমানে সবচেয়ে বর্ধনশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।
পিউ সেন্টার বলছে, বর্তমান বিশ্বে নাস্তিকদের সংখ্যা রয়েছে ১৬%, কিন্তু আগামী ২০৭০ সালে নাস্তিকদের সংখ্যা কমবে, তখন পৃথিবীতে নাস্তিকদের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১৩%।
———————————————————————————————————————
কোন দেশে কতজন ইসলাম গ্রহণ করছে এটা বলা মুশকিল। তবে ইসলাম কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পরিসংখ্যান দেখুন।
পিউ গবেষণা সেন্টার বলছে, ২০১০ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ ভাগ। ২০৫০ সালে খ্রিস্টান ও মুসলিম জনসংখ্যা হবে প্রায় সমান সমান প্রায় ২৮০ কোটি বা মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ। এরপর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলিম জনসংখ্যা।
এরমানে সারা বিশ্বে ৬০ বছরে মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা পাবে (২৮০-১৬০) কোটি= ১২০ কোটি। তারমানে গোটা বিশ্বে প্রতি বছরে দুই কোটি মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুঝুন তাহলে কীভাবে মানুষ ইসলামের দিকে ঝাপিয়ে পরছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এই ৬০ বছরে ১০ কোটি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করবে ধারণা করছে পিউ গবেষণা।
——————————————————————————————————————-
২০৭০ সাল নাগাদ খ্রিষ্টান ধর্মের বৃদ্ধি পাবে ৩৭% এবং ইসলাম ধর্ম বৃদ্ধি হবে ৭৩%। এখন দেখা যাক কোন দেশে কেমন বৃদ্ধি পাবে।
ভারতেঃ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দাবি ২০১০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ছিলো ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু ২০৫০ সালে সেই জায়াগা দখলে নেবে ভারত। সেই সময় দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৩১ কোটি ১০ লাখ, কিন্তু তখনো দেশটি হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রেঃ
গত দশ বছরে ১০ লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারমানে প্রতি এক বছরে এক লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পাছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০৪০ সালের মধ্যেই আমেরিকায় ইহুদীদের ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম। পিউ রিচার্স সেন্টারের দাবি, ২০৫০ সালের মধ্যে চার কোটি মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে ঠিকই কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত ইসলাম গ্রহণ করবে সাড়ে ১০ কোটি।
ইউরোপ মহাদেশেঃ
ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০% হবে মুসলিম। ব্রিটেনে ও ফ্রান্সে খ্রিষ্টান অনুসারী কমে যাবে প্রায় ৫০%।
আফ্রিকা মহাদেশেঃ
আর সাব-সাহারা আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনে ৪ হবে মুসলিম।
—————————————————————————————————————-
পিউ গবেষণা প্রতিবেদন করেছে, ২০১০ সালে বিশ্বের ১৫৯টি দেশই ছিল খ্রিস্টান প্রধান। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা আটটি কমবে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা আরো দুটি বেড়ে দাঁড়াবে ৫১টিতে। নাইজেরিয়া ও মেসিডোনিয়া হবে মুসলিম প্রধান দেশ।
এছাড়াও অভিবাসন নীতি গবেষণা মতে দেখুনঃ
২০৫০ সাল নাগাদ ইসলাম ধর্ম খ্রিষ্টান ধর্মের সমসংখ্যক হয়ে যাবে এবং ২০৭০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম। তখন মুসলিম হবে মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ৩৫%। বর্তমানে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধির হার পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকে বেশী।
পিউ সেন্টার বলছে, বর্তমান বিশ্বে নাস্তিকদের সংখ্যা রয়েছে ১৬%, কিন্তু আগামী ২০৭০ সালে নাস্তিকদের সংখ্যা কমবে, তখন পৃথিবীতে নাস্তিকদের সংখ্যা দাঁড়াবে মোট জনসংখ্যার ১৩%।
২০৭০ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম হবে ইসলাম |
———————————————————————————————————————
কোন দেশে কতজন ইসলাম গ্রহণ করছে এটা বলা মুশকিল। তবে ইসলাম কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পরিসংখ্যান দেখুন।
পিউ গবেষণা সেন্টার বলছে, ২০১০ সালে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৩ ভাগ। ২০৫০ সালে খ্রিস্টান ও মুসলিম জনসংখ্যা হবে প্রায় সমান সমান প্রায় ২৮০ কোটি বা মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ। এরপর ২০৭০ সালে খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলিম জনসংখ্যা।
এরমানে সারা বিশ্বে ৬০ বছরে মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা পাবে (২৮০-১৬০) কোটি= ১২০ কোটি। তারমানে গোটা বিশ্বে প্রতি বছরে দুই কোটি মুসলিম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুঝুন তাহলে কীভাবে মানুষ ইসলামের দিকে ঝাপিয়ে পরছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে এই ৬০ বছরে ১০ কোটি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করবে ধারণা করছে পিউ গবেষণা।
——————————————————————————————————————-
২০৭০ সাল নাগাদ খ্রিষ্টান ধর্মের বৃদ্ধি পাবে ৩৭% এবং ইসলাম ধর্ম বৃদ্ধি হবে ৭৩%। এখন দেখা যাক কোন দেশে কেমন বৃদ্ধি পাবে।
ভারতেঃ
পিউ রিসার্চ সেন্টারের দাবি ২০১০ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ ছিলো ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু ২০৫০ সালে সেই জায়াগা দখলে নেবে ভারত। সেই সময় দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৩১ কোটি ১০ লাখ, কিন্তু তখনো দেশটি হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রেঃ
গত দশ বছরে ১০ লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারমানে প্রতি এক বছরে এক লক্ষ মুসলিম বৃদ্ধি পাছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০৪০ সালের মধ্যেই আমেরিকায় ইহুদীদের ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হবে ইসলাম। পিউ রিচার্স সেন্টারের দাবি, ২০৫০ সালের মধ্যে চার কোটি মানুষ খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে ঠিকই কিন্তু খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত ইসলাম গ্রহণ করবে সাড়ে ১০ কোটি।
ইউরোপ মহাদেশেঃ
ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০% হবে মুসলিম। ব্রিটেনে ও ফ্রান্সে খ্রিষ্টান অনুসারী কমে যাবে প্রায় ৫০%।
আফ্রিকা মহাদেশেঃ
আর সাব-সাহারা আফ্রিকায় প্রতি ১০ জনে ৪ হবে মুসলিম।
—————————————————————————————————————-
পিউ গবেষণা প্রতিবেদন করেছে, ২০১০ সালে বিশ্বের ১৫৯টি দেশই ছিল খ্রিস্টান প্রধান। ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা আটটি কমবে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। এবং ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যা আরো দুটি বেড়ে দাঁড়াবে ৫১টিতে। নাইজেরিয়া ও মেসিডোনিয়া হবে মুসলিম প্রধান দেশ।
এছাড়াও অভিবাসন নীতি গবেষণা মতে দেখুনঃ
পিউ রিসার্চ সেন্টার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি রাষ্ট্র ও নরওয়ে এবং সুইটজারল্যান্ডের উপর অভিবাসন নীতি গবেষণা চালিয়ে বলেছেন,
ইউরোপে বর্তমানে মুসলমানদের উচ্চ অভিবাসন চলছে। পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে অভিবাসন যদি এখনই শূণ্যে নামিয়ে আনা হয়, তারপরও ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানের ৪.৯% বেড়ে ৭.৪% বাড়বে। আর যদি অভিবাসনের উচ্চ হার অব্যাহত থাকে, তাহলে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ১৪ শতাংশের বেশি।
সুইডেনে ২০১৬ সালে মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮.১%। কিন্তু পিউ গবেষণা সেন্টার মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ সুইডেনে মুসলিমরা হবে মোট জনসংখ্যার ৩০% শতাংশ। অর্থাৎ সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন